মধ্যে রাতে কবরীর বাসায় অজ্ঞাত লোকের হানা!
করোনায় প্রয়াত অভিনেত্রী কবরীর গুলশান-২ এর বাসায় গভীর রাতে কিছু অজ্ঞাত লোকজনের আভাস পায় কবরীপুত্র শাকের ওসমান চিশতী। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে কয়েকজন অপরিচিত লোক কবরীর বাসায় ঢুকে পড়েন। পরে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার গুলশান থানায় মামলা করেন কবরীর ছোট ছেলে চিশতী। জিডিতে চিশতী অভিযোগ করে বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আমার বাসার সিঁড়িতে কিছু মানুষের শব্দ পাই। এরপর সিসি ক্যামেরায় দেখি, গ্রাউন্ড ফ্লোরের সব বাতি নেভানো। সিঁড়িতে পায়ের শব্দ পেয়ে ইন্টারকমে ফোন করি। কর্তব্যরত সিকিউরিটি গার্ড ফোন না ধরায় আমার সন্দেহ বাড়তে থাকে। ২০ মিনিট পর রাত ২টা ৫০ মিনিটে ক্যামেরায় দেখি তিন ব্যক্তি ফোনের আলো জ্বালিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামছেন। পরে একটি মোটরসাইকেলে করে তারা চলে যান। এরপর আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে দায়িত্বরত পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করি। চিশতী আরো বলেন যে, ফোন পেয়ে রাত সোয়া তিনটার দিকে পুলিশ আসে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাসার সিকিউরিটি গার্ড সব লাইট জ্বালিয়ে দেন। এরপর গার্ড জানান, বাসার কেয়ারটেকার সহিদুল ইসলামের কথায় তিনি লাইট নিভিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজিজুল হক গণমাধ্যমকে জানায়, কবরীর ছেলের অভিযোগ পেয়ে তারা কবরীর গুলশান লেক রোডের বাড়িতে যায় এবং এই অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছেন। শাকের চিশতী গণমাধ্যমকে জানান যে, ২০০১ সালে তারা আবাসন প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে পাঁচতলা বাড়িটি নির্মাণ করিয়েছেন। তার মা মারা যাওয়ার আগে গুলশানের এই বাড়িটি নিয়ে নানা আশঙ্কা করেছেন। বাড়ির দুই ফ্ল্যাট মালিকের একজন তিন বছর এবং আরেকজন চার বছর সার্ভিস চার্জ দিচ্ছিলেন না। প্রতিবাদ করলে সেই থেকে শুরু হয় তাদের দ্বন্দ্ব। মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি নিয়ে। বাকি ফ্লাট মালিকরা ভেবেছেন, তাদের মা যেহেতু এখন আর নেই, সহজে বাড়িটি দখল করতে পারবে। চিশতি আরো বলেন, তাদের বাড়িটি দখলের চেষ্টা চলছে। আম্মু যখন মারা গেল, তখন ভেবেছিলাম কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু উল্টো আরও অ্যাগ্রেসিভ হলো। মা জীবিত থাকতে লাঞ্ছিত হয়েছে। আমি এখন হুমকির মুখে আছি।